আগামী ২৬ জুলাই অলিম্পিকের উদ্বোধন। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রাও পৌঁছাতে শুরু করেছে প্যারিসে। তবে ফ্রান্সে নির্বাচনের কারণে নতুন দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে আয়োজকদের মধ্যে।
ফ্রান্সের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দল রেনেসাঁ পার্টির নেতৃত্বাধীন এনসেম্বল জোট আছে দ্বিতীয় স্থানে। পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে আসন সংখ্যায় শীর্ষে আছে বামপন্থী দলগুলোর জোট ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট’। এই পরিস্থিতিতে ম্যাক্রোঁর দলের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে চান তিনি। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন অলিম্পিকের আয়োজকরা।
অলিম্পিক গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী আটালের। কিন্তু ইস্তফা দিতে চাওয়ায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর হাতে অলিম্পিকের মতো গেমসের উদ্বোধন করাতে চাচ্ছেন না আয়োজকরা। তবে এর আগে আগামী ২৬ জুলাইয়ের আগে নতুন প্রধানমন্ত্রী যদি পেয়ে যায় তাহলে হয়তো এই সমস্যার একটা সমাধান হতে পারে। কিন্তু তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। নতুন সরকার গঠনের জন্য কোনো জোটই এখন পর্যন্ত অন্য কোনো জোটকে সমর্থনের কথা জানায়নি। তবে এগিয়ে আছেন ম্যাক্রোঁ।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট আটালকে প্রধানমন্ত্রী রেখে কাজ চালিয়ে নিলেও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। ফ্রান্স প্রশাসনে প্রধানমন্ত্রীর পর গুরুত্বপূর্ণ পদ অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীর। উদ্বোধক হিসেবে তার কথাও ভাবা হচ্ছে। তবুও আয়োজকরা তাকিয়ে আছেন ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্তের দিকে। অন্যদিকে প্রশাসনিক স্তরেও রয়েছে অস্থিরতা ও উদ্বেগ। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে সংশ্লিষ্টরা অলিম্পিকের জন্য কতটা সময় দিতে পারবেন তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
অলিম্পিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছেন ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন। তিনি বলেছেন, ‘সব প্রস্তুতি শেষ। অলিম্পিটক শুরুর অপেক্ষায় আছি আমরা।’ তবে এখনই গেমসের উদ্বোধক হিসেবে কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবা হচ্ছে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।