আ.বি. রিপোর্ট : ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক রোগ যা মানব দেহের সকল অঙ্গ- প্রতঙ্গকে আান্ত করে। বর্তমান বিশ্বে এই রোগটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই রোগের ব্যপারে সচেতনতা, নিয়মকানুন ও সঠিক জীবন ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। কাদের হতে পারেঃ প্রথমত যাদের এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, দ্বিতীয় যারা সেডেন্টারি লাইফ স্টাইল অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম ব্যতিত জীবন যাপন করে থাকে। এছাড়াও অত্যাধিক শারিরিক ওজন ও অনিয়নত্রিত খাদ্যাভাস এবং গর্ভাবস্থ্যায় রোগটি হতে পারে। ডায়াবেটিস কি? আমাদের শরীরের অগ্নাশয় নামক গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নামক হরমোণ নিঃসরিত হয়। কোন কারণে এই হরমোণের সম্পূর্ণ অথবা আপেক্ষিক ঘাটতি হলে মানব দেহে স্থায়ীভাবে গ্ল ুকোজ এর পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন প্রকার লক্ষণ দেখা যায়। মোটাদাগে ইহাই ডায়াবেটিস রোগ। লক্ষণসমূহঃ অতিরিক্ত পানি পিপাসা, ঘণ ঘণ প্রসাব হওয়া ও অতিরিক্ত ক্ষুধা ভাব। সেই সাথে অল্পতেই দূর্বলতা, ওজন কমে যাওয়া এবং অনান্য কিছু রোগের লক্ষণ দেখা যাওয়া। নিয়ন্ত্রণের জন্য করণীয়ঃ সর্বপ্রথমে এই রোগের জন্য শৃঙ্খল জীবনের কোন বিকল্প নেই। ২য়তঃ সঠিক খাদ্যের অভ্যাস।
৩য়তঃ ঔষধ যা ২ ধরণের, মুখে খাবার এবং ইনসুলিন। প্রতিদিন সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করা এবং সচেতন থাকা অপরিহার্য। খাওয়া যাবেঃ সকল ধরণের শাক যেমনঃ লাল শাক, পুই শাক, কলমি শাক, ডাটা শাক, কচুশাক ইত্যাদি। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে ব্যাক্তির নিজস্ব কোন খাদ্যে এ্যালার্জি আছে কিনা। টকজাতীয় ফল যেমনঃ জাম, আমড়া, জামরুল, আমলকি ও কচি ডাবের পানি ইত্যাদি। বাদাম, সামুদ্রিক মাছ এবং চর্বি জাতীয় মাছ ব্যাতিত অন্যন্য মাছ। খাওয়া যাবে নাঃ মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন চিনি দিয়ে তৈরী ব্যাকারি খাদ্য, মিষ্টি ফল ( ক্ষেত্র বিশেষে পরিমিত পরিনাণে খাওয়া যেতে পারে), কোকাকোলা/ পেপসি, প্যাকেটজাত মিষ্টি জুস ইত্যাদি। মুখে খাবার ঔষধ নাকি ইনসুলিনঃ মূলত ২ ধরণের ডায়াবেটিস এর মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিস এ অবশ্যই ইনসুলিন লাগবে। টাইপ২ ডায়াবেটিস এর জন্য ঔষধ ও/অথবা ইনসুলিন প্রয়োজন। রক্তে সুগারের মাত্রা যদি অত্যাধিক হয় তাহলে ইনসুলিন এবং ডায়াবেটিস এর মাত্রা কম বেশী হলে মুখে খাবার ঔষধ প্রয়োজন হবে। কিছু ক্ষেত্রে প্রথমে ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে পরে মুখে খাবার ঔষধ দেয়া যায়। তবে মুখে খাবারের ঔষধের তুলনায় ইনসুলিন এরপার্শ্ব প্রতিিয়া কম।
পাদটীকাঃ ডায়াবেটিস রোগীদের সবচেয়ে বেশী উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। ধৈর্য ধরে নিয়ম- কানুন মানা, সেই সাথে হালকা ব্যায়াম, কিছু শারিরীক পরিশ্রম, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ করলে একজন ডায়াবেটিস এর রোগী প্রায় সুস্থ্য মানুষের ন্যায় জীবন যাপন করতে পারে। পরিশেষে আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।