দীর্ঘ ১৪ বছর পর যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে নিঙ্কুশ জয় পেয়েছে দলটি। জয়ের পর দায়িত্ব নিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। নতুন মন্ত্রিসভায় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পেয়েছেন একজন মুসলিম নারী।
শনিবার (০৬ জুলাই) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ৪১২ আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩২৬টি আসনের প্রয়োজন হয়।
জানা গেছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন কিয়ার স্টারমার। এরপরই মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা শুরু করেন তিনি। এতে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন শাবানা মাহমুদ নামের এক মুসলিম নারী। যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।
শাবানা মাহমুদের জন্ম বার্মিংহামে। তিনি পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মীর বংশোদ্ভূত। তার বাবা মা কাশ্মীরের মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের তায়েফে কাটিয়েছেন শাবানা।
প্রথম অব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে ২০১০ সালে হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন শাবানা। একই বছরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত রুশনারা আলি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইয়াসমিন কুরেশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শাবানা মাহমুদ কেবল প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রীই নন, তিনি দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী যিনি লর্ড অব চ্যান্সেলর নামক প্রাচীন পদটিও গ্রহণ করেছেন।
শাবানা এর আগে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সাল তিনি লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন তিনি।