ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একটি সমাধানে একমাত্র উত্তর হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান। চলমান যুদ্ধাবস্থায় যা এ অঞ্চলে একটি নতুন ভবিষ্যতের জন্ম দিতে পারে।’
সোমবার রাজধানী লন্ডনের লর্ড মেয়র’স ব্যাঙ্কোয়েট হলে দেওয়া এক বক্তব্যে হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে নিজ দলের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাতে যা অনুপ্রাণিত করেছিল সেটা শুধু ঘৃণার কারণে ছিল না বরং তাদের ভয় ছিল, একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের জন্ম হওয়ার, যার সঙ্গে ইসরায়েলের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সুনাক বলেন, ‘অতীত এসে ভবিষ্যতের জন্মকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
সুনাক আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করতে তার নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করতে এবং জিম্মিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় এমনো আছে যেগুলো ইসরায়েলকে তার প্রতিক্রিয়ার অংশ বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট বলেছি যে, ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মানতে হবে। তাদের অবশ্যই হাসপাতালসহ নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিতে হবে। পশ্চিম তীরে চরমপন্থি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। গাজায় আরও সাহায্য ঢোকার অনুমতি দিতে হবে।’
সুনাক বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আমাকে ফিলিস্তিনি জনগণের ভয়াবহ দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়েছেন। অনেক বেসামরিক লোক তাদের জীবন হারাচ্ছে।
তিনি এও জানান, যুক্তরাজ্য গাজায় সহায়তা দ্বিগুণ করেছে। তিনি বলেন, এ ছাড়া জাতিসংঘে সরাসরি ইসরায়েলের সাথে- নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকার এবং জরুরি ও প্রকৃত মানবিক বিরতির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ওই অঞ্চলে চিরস্থায়ীভাবে সংঘাত অবসানের একমাত্র উপায় দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান। এটাই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে সেই অঞ্চলের ইতিহাস এবং বসবাসকারী লোকজনের হৃদয়কে স্বীকৃতি ও সম্মান জানানোর মাধ্যমে আমরা স্থায়ীভাবে শান্তির পথে এগোতে পারি।