ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধে পাঁচটি স্থানে ভেঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে লোকালয়ে পানি ঢুকে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, দোকানপাট ও বাড়ি-ঘর ডুবে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই উপজেলায় চলমান এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সোমবার থেকে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাত ৮ টার দিকে ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পরশুরামের দক্ষিণ শালধর মধ্যম পাড়া, ফুলগাজীর কিসমত ঘনিয়ামোড়া ও উত্তর দৌলতপুর এলাকার ৩টি সহ মোট ৫টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যায় পরশুরামের দক্ষিণ শালধর, মালিপাথর ও ফুলগাজীর নিলক্ষী, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, মনিপুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া গ্রাম। এসব এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট, মৎস্য খামার ও ফসলি জমি।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহারিয়ার জানান, ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার জানান, ফুলগাজীতে ৪টি ও পরশুরামে একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় এসব এলাকার হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেছেন, বন্যাদূর্গত এলাকায় এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।