আমাদের বিক্রমপুর রিপোর্ট: সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন নং১৭১, মুন্সীগঞ্জ— ১ (শ্রীনগরসিরাজদিখান) আসনে বর্তমান জরিপে সম্ভাব্য, যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীরা তৃণমূলের নেতাকমীর্ ও সমর্থকদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। নেতা কমীর্দের দৌড়ঝাঁপ চলছে এবং কুশল বিনিময় করছেন। গরীবদের হাতে তুলে দিয়েছেন ঈদের নতুন জামা, গরীব দুখি ভুখা— নাখা মানুষের খেঁাজ খবর নিচ্ছেন, কুশল বিনিময় করছেন হাসি মুখে।
মুন্সীগঞ্জ— ১ আসন জাতীয় সংসদের আসনগুলোর মধ্যে নানান কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন সাবেক এটনীর্ জেনারেল ব্যারিস্টার কেএস নবী ও পুলিশের সাবেক আই.জি.পি রকিব খন্দকার। দু’জনই বি.চৌধুরী’র কাছে পরাজিত হন।
অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ— ২ আসনে মাননীয় এমপি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। ২০০১ সালে তিনি লৌহজং— সিরাজদিখান আসন (তৎকালীন মুন্সীগঞ্জ— ২ আসন)— এ নির্বাচন করেছেন। তাই বিভিন্ন কারণেই মুন্সীগঞ্জ— ১ আসনটি সবার দৃষ্টিতে পড়ে। শ্রীনগর— সিরাজদিখান উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটি এক সময়ে বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ২০০৮ সাল থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘরে চলে আসে। মুন্সীগঞ্জ জেলার ৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে জরীপ করে দেখা গেছে এ আসনটি আওয়ামী লীগের জন্য সহায়ক আসন। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে এ আসনের এমপি ছিলেন বাবু সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। তিনি শারীরিক ভাবে অক্ষম বা অর্ধ প্যারালাইজড। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মিটিং হয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দ্বারা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস বাকি থাকলেও অন্যান্য আসনগুলোর মতো এই আসনেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। পোস্টার ও ব্যানারে রাস্তাঘাট ভরপুর।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ, নুরুল আলম চৌধুরী, ডা. বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু, নতুন মুখদামলা গ্রামের ব্যারিস্টার কিবরিয়া শিমুল। এলাকায় ব্যারিস্টার কিবরিয়া শিমুলের জনসংযোগ রয়েছে। সাবেক সচিব শামসুল হক, ৭৩ ব্যাচ বিসিএস ক্যাডার। বর্তমানে মরহুম। গত নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। (আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতবাসী করুন)। ডা. বদিউজ্জামান ভুঁইয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই টার্ম স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটিতে নেই। তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী। নুরুল আলম চৌধুরী, সভাপতি শেখ রাসেল ীড়া চ। সহ— সভাপতি, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। সফল ও সার্থক ব্যবসায়ী। এম. এ রাষ্ট্র বিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৭— ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ বছরে নির্বাচনী এলাকায় ২৮টি ইউনিয়নের স্বার্থে কম বেশি পরিচিতি বহন করে আসছেন। ব্যবসায়িক ও ভদ্রোচিত প্রার্থী হিসেবে নুরুল আলম চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের নেতা কমীর্, সমর্থক এবং সাধারণ ভোটারগণ তাকে ভাল লোক হিসেবে জানে। বর্তমান সংসদ সদস্য বিকল্প ধারা থেকে মাহী বি.চৌধুরী। গত নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর জন সাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চলছে। জনংযোগ কম। উপকার ও ক্ষতি কোনটার সাথেই নেই। জানালেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
আলহাজ্ব মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন জনপ্রিয় ও তৃণমূলের নেতা। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী। ২৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ— ১ আসন। তন্মধ্যে ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত সিরাজদিখান উপজেলা। ইউনিয়নগুলো হলো চিত্রকোর্ট, শেখেরনগর, কেয়াইন, বাসাইল, রাজানগর, কোলা, বালুচর, লতব্দী, বয়রাগাদী, মালখানগর, মধ্যপাড়া, জৈনসার, ইছাপুরা ও রশুনিয়া। আবার ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত শ্রীনগর উপজেলা। ইউনিয়নগুলো হলো বাড়ৈখালী, হাঁসাড়া, বীরতারা, ষোলঘর, শ্রীনগর, শ্যামসিদ্ধি, রাঢ়ীখাল, ভাগ্যকুল, বাঘড়া, তন্তর, আটপাড়া, কুকুটিয়া, পাটাভোগ ও কোলাপাড়া। এই দুই উপজেলা নিয়েই মুন্সীগঞ্জ— ১ আসন।