মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে এখন আর ফেরির জৌলুস না থাকলেও বেড়েছে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের আনাগোনা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে আসেন মাওয়ায়। পাশাপাশি উপভোগ করেন পদ্মা সেতু ও পদ্মার উত্তাল রূপ। আর এই সুযোগে ঘাটের গোলচত্বর দিয়ে গাড়ি ঘোরাতে গেলেই জোর করে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে এটাকে জোরজুলুমের লাইসেন্স বলছেন ভুক্তভোগী পর্যটকরা।
জানা যায়, আগে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন পদ্মা পার হতো। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর সেই জৌলুস আর নেই। কিন্তু সেই আগের জোরজুলুম বন্ধ হয়নি দুই বছরেও।
তবে বর্তমানে ইলিশ কেন্দ্রিক পর্যটন জোনে পরিণত হয়েছে শিমুলিয়া ঘাট। ঘাটটির যখন নতুন জৌলুস হাতছানি দিয়ে ডাকছে, তখনই জুলুম শুরু হয়েছে পর্যটকদের ওপর। ইলিশের স্বাদ নিতে আসা পর্যটকরা ঘাটের গোলচত্বর দিয়ে গাড়ি ঘোরাতে গেলেই এখন ২০ ও ৪০ টাকা হারে টোল আদায় করা হচ্ছে জোর করে।
পর্যটকরা বলেন, ঘাট যেহেতু বন্ধ, ফেরিও চলাচল করছে না। আমরা মোটরসাইকেলে পদ্মা সেতুতে যাচ্ছি তাহলে কেন টাকাটা নিচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাটে জোর করে টোল আদায় করা হচ্ছে। এটি কি সরকার পাচ্ছে, নাকি অন্য খাতে যাচ্ছে? দেখা প্রয়োজন। এভাবে টোল আদায়কে জোরজুলুমের লাইসেন্স বলে দাবি করছেন পর্যটকরা।
এ দিকে ইজারাদারের সাফাই গেয়ে রাস্তা ব্যবহারে টোল আদায়ে সায় দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, টোলটা আগে আলাদা ছিল, এখন সেটা একসঙ্গে করে দেয়া হয়েছে। এখন পার্কিং ও রোড একসঙ্গে, এটা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
তবে, টোল আদায়কারীদের দাবি, তারা বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে এবার ঘাট কোটি টাকায় ইজারা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের প্রধান এই শিমুলিয়া ফেরিঘাটের গুরুত্ব কমে যায়। তখন এ ঘাটের প্রবেশ পথে টোল দিতে হতো না; তবে এখন টোল গুনতে হচ্ছে।