তুষার আহাম্মেদ- মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া সরকারি পাইলট মডেল হাই স্কুলে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান হয়েছে। সৌদি আরবের আল-বাশার ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের সহযোগিতায় চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করে গজারিয়া সরকারি পাইলট মডেল হাই স্কুলের ১৯৮৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংগঠন “মেঠো পথে-গজারিয়া’৮৯ ফাউন্ডেশন”। ঢাকার মক্কা চক্ষু হাসপাতালের একটি চিকিৎসক টিম চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে এ চক্ষু চিকিৎসা হয়। এতে ৫-৬ সহস্রাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে বিনা খরচে চোখের ল্যান্স ও ছানি অপারেশনের জন্য ৫ শতাধিক উপরে রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাজারো নারী-পুরুষ। উপজেলার বাঁশগাঁও গ্রামের মো. মাঈনুদ্দিন মিয়া (৮৪) বলেন, আমার বয়স হয়েছে। বয়সের ভারে এখন চোখে দেখি না। বাম চোখে তো একেবারেই দেখতে পাই না। খবর পাইলাম এখানে টাহা ছাড়াই ডাক্তার দেখতেছে। তাই ছুইটা আইলাম। ডাক্তার আমাকে ভালো ভাবে দেখছে। এখন আমাকে ঢাকা নিয়ে ফ্রি চিকিৎসা কইর্যা দিবেন। তিনি আরও বলেন, এখনো সমাজে ভালো মানুষ আছে। নাইলে, এমন আয়োজন কেউ করে? এতগুলো মানুষ কে তারা টাকা ছাড়া সেবা দিচ্ছে। আল্লায় তাদের ভালা করুক। তারা আমাগো পাশে আরও দাঁড়াতে পারে। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডা. মোসলেম উদ্দিন (৬৭) বলেন, যাদের আয়োজনে আজ হাজার হাজার রোগী ফি চক্ষু চিকিৎসা পাইতেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তাদের এ আয়োজনে গজারিয়া উপজেলাবাসী কৃতজ্ঞ। মেঠো পথে-গজারিয়া’৮৯ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কামরুল আহসান রিপন বলেন, আমাদের এ সামাজিক সেচ্ছাসেবক সংগঠনটি গজারিয়া উপজেলায় সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এর আগেও ৫৫০ জন নারী-পুরুষকে ফি চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। ১২’শ জনের মাঝে চশমা প্রদান করা হয়েছে। আরও বলেন, আমরা এর আগেও শীতবস্ত্র, খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেছি। আমরা একটি শিক্ষা বৃত্তির কাজ হাতে নিয়েছি। যাতে এ উপজেলায় অর্থের অভাবে কোন শিক্ষার্থী ঝড়ে না পড়ে। এছাড়াও আমরা বৃক্ষ রোপণ করছি। যাতে উপজেলায় সবুজের সমারোহের সৃষ্টি হয়। আজ আমরা পাঁচ থেকে সাত হাজার রোগীকে ফ্রি দেখানোর ব্যবস্তা নিয়েছি। এরমধ্যে ছয় থেকে ৭০০ রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা, চশমা ও ওষুধ প্রদান করা হবে।