মেট্রোরেল চলাচল শুরু

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় এই ঘটনা ঘটে। পরে ৯টার দিকে স্বাভাবিক হয় মেট্রোর চলাচল।

সকালে মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনে মতিঝিলগামী একটি ট্রেন বন্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর এসময় উত্তরাগামী ট্রেনটি মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে আটকে ছিল। এসময় প্লাটফর্ম থেকে ঘোষণা করা হয় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচলে দেরি হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বাড়ে। ফলে ট্রেনে উঠা নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হয় ও ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের।

এরই মধ্যে মেট্রোরেলের এধরনের বিভ্রাট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। নির্ধারিত সময় নিয়ে বের হয়েও মাঝে মাঝেই মেট্রোর বিভিন্ন ত্রুটির কারণে শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।

মেট্রোর এক যাত্রী মামুন সময় সংবাদকে বলেন, আগে অফিসে যাওয়া-আসার জন্য পাবলিক বাসে যেভাবে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বের হতে হয়েছে, এখন মেট্রোর জন্যও অনেকটা তাই করতে হচ্ছে। কারণ এটি কখন নষ্ট হবে আর কখন আবার চলা শুরু করবে, তা নিশ্চয়তা দিয়ে বলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এমন হলে মেট্রোও তার ভরসার জায়গা হারাবে।

এদিকে সকালে মেট্রোরেলের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয়া হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত অদ্য ৩০/০৫/২৪ তারিখ মেট্রোরেল ১৫ মিনিট Headway তে (বিরতির সময়) চলাচল করবে। পরবর্তীতে নির্ধারিত Headway চালু হলে জানানো হবে।’ এতে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যায় সকাল থেকেই। পরে সোয়া ১০টার দিকে আবার পূর্ব নির্ধারিত বিরতিতেই স্টেশনগুলোতে আসতে শুরু করে মেট্রোরেল।

বর্তমানে মেট্রোরেল চলছে সকাল ৭টা থেকে।রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেলের টিকিট কাটা যায়। উত্তরা থেকে মতিঝিল অভিমুখী ট্রেনের পিক আওয়ার হচ্ছে সকাল ৭টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। আবার বিকেল ৩টা ১৩ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পিক আওয়ার হিসেবে গণ্য হয়। অন্যদিকে মতিঝিল থেকে উত্তরা রুটের পিক আওয়ার শুরু হয় সকাল ৮টা ১ মিনিট থেকে ১২টা ৮ মিনিট এবং বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত।