শিশু নিখোজেঁর গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। সম্প্রতি ফেসবুকে শিশুদের নিখোঁজ হওয়ার গুজব ছড়ায়। বিশেষ করে চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিখোঁজের দাবি করা হয়। পরে পোস্টগুলো আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। তদন্তে নিখোঁজ দাবি করা বেশিরভাগ শিশুকে পাওয়া গেছে বলে জানায়। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইয়ের গ্রুপগুলোও জানায় একই তথ্য।
সম্প্রতি ফেসবুকে একাধিক পোস্টে শিশু নিখোঁজের দাবি ওঠে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজের দাবিতে সয়লাব হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেকিং গ্রুপ ও পেজগুলো প্রত্যেকটি অভিযোগ যাচাই করে জানিয়েছে, নিখোঁজের দাবি করা এই শিশুদের বেশিরভাগই নিজে থেকে পালিয়ে গেছে। তাদের আবার পাওয়াও গেছে। কিন্তু এরি মধ্যে ভাইরাল হয়েছে তাদের নিখোঁজ সংবাদ। যা ছড়ানো হয়েছে ফেসবুকের কয়েকটি গ্রুপ ও পেজ থেকে।
এএফিপর ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দীন শিশির বলেন, এর জন্য বিশেষ করে দায়ী হচ্ছে ফেসবুকের অ্যালগরিদম। সোস্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম এমনভাবে সাজানো যে বিষয়গুলো আমরা দেখি, সেই বিষয়গুলো পরপর আমাদের সামনে আবারও তুলে ধরা হয়।
তিনি জানান, আমরা ৩০ জনের বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, বেশির ভাগ শিশুই ফিরে এসেছে। তবে হারিয়ে যাওয়া বা ফেরত আসার ঘটনাগুলো এক সপ্তাহ আগের। কিন্তু পরের সপ্তাহে এই বিজ্ঞপ্তিগুলো নতুন করে ভাইরাল হয়েছে।
পদ্মাসেতু উদ্বোধনের আগেও এমন গুজবে প্রাণ দেন বাড্ডার রেনু বেগম। ফলে এবার শিশু নিখোঁজের গুজব ছড়ানোর পর থেকেই সক্রিয় হয় পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে নিখোঁজ দাবি করা বেশিরভাগ শিশুরই খোঁজ মিলেছে।
সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেসুবকে প্রচার করা এমন চারটি গ্রুপে আমার ডেকেছিলাম। তারা জবাব দিয়েছে। জানিয়েছে, অধিকাংশ শিশু মা-বাবার ওপর রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। কিন্তু পবিবারের সদস্যরা থানায় না এসে ফেসবুকে এই খবর জানিয়ে দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু নিখোঁজের গুজব ছড়ানোদের কয়েকজন এরিমধ্যে পুলিশের কাছে ভুলও স্বীকার করেছে। এ ধরণের গুজবে গা ভাসিয়ে আতঙ্ক না ছড়ানোর আহবান জানিয়েছে পুলিশ।