এনরিখ নোর্কিয়া-কাগিসো রাবাদাদের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলংকা। তবে মামুলি এই রানও স্বাচ্ছন্দ্যে পার করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। জেতার জন্য তাদের খেলতে হয়েছে ৯৮ বল, খোয়াতে হয়েছে ৪ উইকেট।
যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে ৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারায় মাত্র ১০ রানের মাথায়। ওপেনার রিজা হেনড্রিকসকে টিকতে দেননি নুয়ান থুসারা। অধিনায়ক এইডেন মার্করামও দলের হাল ধরতে পারেননি। ২৩ রানের মাথায় ফেরেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ২৮ রান যোগ করেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও ত্রিস্তান স্টাবস। দলীয় ৫১ ও ৫৮ রানের মধ্যে ফেরেন এই দুজনও। ২৭ বলে ডি কক করেন ২০ রান। অন্যদিকে ১৩ রান করতে স্টাবসকে খেলতে হয়েছে ২৮ বল।
ডি কক, স্টাবসের বিদায়ের পর দলের আর বিপদ ঘটতে দেননি হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন এই দুজন। ২২ বলে ১৯ রানে ক্লাসেন ও ৬ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মিলার।
এর আগে, নোর্কিয়ার গতির আগুনে পুড়ে ২০ ওভারের ৫ বল বাকি থাকতেই ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় লংকানরা। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সেরা বোলিং ফিগার এটি। ‘ডি’ গ্রুপের এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে সেই সিদ্ধান্ত যে হিতে বিপরীত হয়েছে, সেটি বোঝাতে খুব বেশি সময় নেননি লংকান ব্যাটাররা। ১৩ রানের মাথায়ই অভিষিক্ত ওটেনেইল বার্টম্যানকে উইকেট দিয়ে ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা।
দ্বিতীয় উইকেটে ১৮ রান যোগ করেন ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও তিনে নামা কামিন্দু মেন্ডিস। ৩১ রানের মাথায় নোর্কিয়ার বলে ফেরেন কামিন্দু। চারে নামা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও পাঁচে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমা ফেরেন শূন্য রানেই। এই দুই উইকেট নেন স্পিনার কেশাভ মহারাজ। একপাশ আগলে রেখে কুশল মেন্ডিস লড়াই করতে চাইলেও বেশিক্ষণ পারেননি। ৩০ বলে ১৯ রান করে নোর্কিয়ার বলেই ফেরেন তিনি।
৪০ রানে পাঁচ উইকেট হারানো লংকানরা তাদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় আর ৫ রান যোগ হতেই। চারিথ আসালাঙ্কাকেও ফেরান নোর্কিয়া। সপ্তম উইকেটে ২৩ রান যোগ করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকা। কুশল ও কামিন্দুর পর মাত্র তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ইনিংসে দুই অঙ্কের রানের দেখা পান ম্যাথিউস (১৬ বলে ১৬)। শেষের দিকেও কেউ সেভাবে দাঁড়াতে না পারায় ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় লংকানরা।
নোর্কিয়া ছাড়াও দারুণ বল করেছেন অভিষিক্ত বার্টম্যান। ৪ ওভারে ১ মেডেন আদায় করাসহ মাত্র ৯ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ। কাগিসো রাবাদা ২ উইকেট নিয়েছেন তার চেয়েও ১ রান কম দিয়ে।