মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তর উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর গ্রামের শ্যামল রায়ের বাড়িতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দূর্গোৎসবের পরপরই প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয় এ পূজা। ইতিহ্যবাহী এ পূজায় বাংলাদেশ জাতীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য শ্যামল রায়সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শাস্ত্রমতে জানা যায়, দেবী লক্ষ্মী ধন-স¤পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। এছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব) আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। তিনি খ্যাতি, জ্ঞান, সাহস ও শক্তি, জয়, সুসন্তান, বীরত্ব, স্বর্ণ, অন্যান্য রত্নরাজি, শস্য, সুখ, বুদ্ধি, সৌন্দর্য, উচ্চাশা, উচ্চভাবনা, নৈতিকতা, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন দান করেন। এক কথায়, লক্ষ্মীপূজায় মানুষ সার্বিকভাবে সুন্দর ও চরিত্রবান হয়। দেবী লক্ষ্মী দ্বিভূজা ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পূর্ণিমা রাতে ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রশ্ন করেন ‘কে জেগে আছো’? তাই লক্ষ্মী পূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরী পূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরি অর্থ ‘কে জেগে আছো’। এদিন ভক্তকূলকে ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে বাড়িতে বাড়িতে পূজা গ্রহণ করে লক্ষী। সে সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে বলে জানান ভক্তরা।